আমার বর্তমান অফিস যদিও আমি একা নিয়েছি এর আগে আমি কয়েকটা শেয়ারড অফিসে আমার বিজনেস ( টেকনোক্রুজ) আর আমাদের পার্টনারশিপ বিজনেস ( ব্রেইন টিউনারস) রান করেছি। এছাড়া আমাদের বর্তমানে একটা অফিস রয়েছে এই মডেল এ পার্টনারশিপ ইন্সপায়ার চিটাগং ।
>> কো – ওয়ার্কিং স্পেস বা শেয়ারে অফিস নিলে যেই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবেঃ
১) ভাড়ার ব্যাপার বিবেচনায় নিতে হবে।
২) অফিস দুইভাবে নেয়া যায়। অফিস এরিয়ায় অনেক টাকা এডভান্স করে ভাড়া কিছুটা কমে। আর নাহয় এমন কোন এরিয়ায় যেখানে ফ্ল্যাট নিয়ে অফিস করা যায়। সেক্ষেত্রে এডভান্স কম হবে তবে ভাড়া বেশি হবে। কিন্তু প্রথম ক্ষেত্রে প্রায় যায়গায় ই নিজেদের রঙ করা থেকে শূরু করে অফিস সেটাপ কস্ট আসবে। ২য় ক্ষেত্রে যাস্ট ফার্নিচার নিয়েই শুরু করা যায়।
৩) দেখা যায় অফিস নিচ্ছি এক রুম কিন্তু অই রুম এ কেউ ১ জন অফিস করবে আবার কেউ ৫ জন বা তারো বেশি । সেখাত্রে ইউটিলিটি বিল যেমন পানি, বিদ্যুৎ এইসব নিয়ে মনমালিন্য হতে পারে। তাই সব ব্যাপার ইক্যুয়াল শেয়ার করা সম্ভব না। ইউটিলিটি শেয়ার এর সময় এই ব্যাপার মাথায় থাকতে হবে।
৪) যদি বিভিন্ন রকম ব্যাবসা হয় সেক্ষেত্রে সুবিধা যেমন আছে সমস্যাও আছে। ধরুন কয়েকজন লোকাল ব্যাবসা করেন। এখন একজনের ক্লায়েন্ট আসলো পরে অন্যজনের প্রপোজাল ভালো লাগলো । ক্লায়েন্ট তার হতে পারে। সেক্ষেত্রে মনোমালিন্য হতে পারে। আর ভয়ানক ও হতে পারে। আবার অনেকেই আছে অন্যের কাজে নাক গলায় । এই সভাবের মানুষের সাথে স্পেস শেয়ার করা টাফ। তাই নিজের মধ্যে এই গুন থাকলে কারো সাথে ভাগে অফিস না নেয়াই ভালো।
৫) অফিসের যেমন এডভান্স দিতে হয় তেমনি কো স্পেস নিলেও নিয়ে নেয়া ভালো সেক্ষেত্রে কেউ ধুপ ধাপ ছেড়ে যেতে পারবে না আর অন্যদের উপর চাপ পরবে না।
৬) সর্বোপরি সবাই মিলে মিশেই সব সমাধান করতে হবে কিন্তু কেউ কারো কাজে interfere করবে না এই মানসিকতা থাকতে হবে।
>> কেমন বাজেট হতে পারেঃ
এলাকা ভেদে স্পেস নিয়ে নিজের মত করে সাজানোর একেকরকম বাজেট হতে পারে। আমি ৫ জনের জন্য ছোট স্পেস (৫০০-৭০০ sft) এর একটা ধারনা দিবার চেস্টা করছি। এদিক সেদিক হবে।
এডভান্স সেক্ষেত্রে ৩-৫ লক্ষ টাকা হতে পারে। আর সাথে সাথে অফিস সাজানোর খরচ থাকবে। মাসিক ভাড়া ১০-১৫ হতে পারে। আর ইউটিলিটি আলাদা।
আর যারা ফ্ল্যাট নিতে চান তাদের জন্য আমি ও আর নিজাম রোড আবাসিক, মেহেদিবাগ আর দক্ষিন খুলশির একটা ধারনা দিতে পারি ।
এদিকে ১৪০০ sft এর একটা ফ্ল্যাট নিলে খুব সুন্দর অফিস হবে।
১) ওর নিজাম আবাসিক এ একটা এমন ফ্ল্যাট এর ভাড়া প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। (ভাড়া, সার্ভিস চারজ সহ) । এরপর আপনাকে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল নিজেই দিতে হবে। ব্যাবহার যোগ্য রুম হবে ৪-৫ টি।
২) মেহেদিবাগ এ এইরকম বাসা ভাড়া হবে ২৫-৩০ হাজার টাকা ।
৩) খুলশীতে ৩০ হাজার টাকা।
প্রতি ক্ষেত্রে ২-৩ মাসের এডভান্স আর সাথে প্রতিমাসের ভাড়া প্রিপেইড সিস্টেম এ দিতে হবে।
তাহলে ৫ রুম যদি ধরি খুলশির ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বাদে পার হেড ৬০০০ পড়বে। ইউটিলিটি টিম সাইজ এর উপর নির্ভর করে আরো ১-৩ হাজার এর মত পরবে ( যদি এসি চালান বা টিম বড় হয়)
এবার যারা একসাথে অফিস নিতে চান ডিসাইড করতে পারবেন সহজেই কিভাবে করবেন, কয়জন করবেন। কিভাবে আপনার মাসিক ভাড়া আসবে।
যদিও চট্টগ্রামের জন্য লেখা লেখাটি বাকিদেরো কাজে আসবে । ঢাকায়ও প্রায় কাছাকাছি হবে। বসুন্ধরায় অফিসের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
**এই লেখাটি পূর্বে আমার বাংলা ব্লগে মে ৩, ২০১৬ সালে প্রকাশিত । বর্তমানে এই ব্লগটা আমার বাংলাভাষী ভিজিটরদের জন্য ডেডিকেটেড! English Content এর জন্য WPBoffins or MRMizan follow করুন।